আসসালা-মু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহু।
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা-র জন্য এবং অসংখ্য সলাত ও সালাম বর্ষিত হোক সর্বশেষ নাবী ও রাসূল মুহাম্মাদ ﷺ-এর প্রতি।
✍ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা বলেন:
إِنَّمَا يَخْشَى اللَّهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمَاءُ
“আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে আলেমরাই তো তাঁকে ভয় করে থাকে।”
[সূরা ফাতির-২৮]
এর ব্যাখ্যায় সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, আলেম যিনি আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করেন না। আল্লাহ্কৃত হালালকে হালাল মনে করেন এবং হারামকে হারাম মনে করেন। তার আদেশ যথাযথভাবে পালন করেন। আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের ব্যাপারে দৃঢ় বিশ্বাস রাখেন এবং বিশ্বাস রাখেন যে তার আমলের হিসাব হবে’
[ইবনু কাছীর]
✍ রাসূলুল্লাহ ﷺ-বলেন,
“আর আবেদের ওপর আলেমের শ্রেষ্ঠত্ব সকল তারকার ওপর চাঁদের শ্রেষ্ঠত্বের মতো। নিশ্চয় আলেমগণ নবীদের উত্তরাধিকারী। তবে নবীগণ দিনার বা দিরহামের উত্তরাধিকারী বানান না। তাঁরা কেবল ইলমের ওয়ারিশ বানান। অতএব যে তা গ্রহণ করে সে পূর্ণ অংশই পায়।”
[সুনানে তিরমিযী : ২৬৮২]
❒ সুচনাঃ
নিশ্চয়ই ইলমের ধারক বাহক হলেন উলামাগন এবং তার উৎস হল কোরআন ও সুন্নাহ!
ইলম নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত উলামাদের দারস্ত হওয়া অাবশ্যক! জীবনের সর্বক্ষেত্রে যারা সালাফদের মতাদর্শ গ্রহণ করে অর্থাৎ মানহাজ, আক্বীদাহ, ফিক্বহ, রাজনীতি, অর্থনীতিসহ সকল ক্ষেত্রে সালাফদের নীতি ও মানহাজের ওপরে চলে কেবল তাদেরকেই বিশ্বস্ত উলামা,দ্বায়ী বলা যায় এবং তাদের থেকেই দ্বীন নেওয়াটা অধিক নিরাপদ! মাজহুল কিংবা সালাফদের মানহাজের উপর প্রতিস্ঠিত নয় এমন কারো কাছ থেকে ইলম নেওয়াটা মোটেও নিরাপদ নয় কেননা হতে পারে তা আপনার দ্বীনকে ধংস করে দিবে!
✍ ইমাম মুসলিম رحمه الله বর্ণনা করেন (মুকাদ্দিমাহ),
عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، قَالَ إِنَّ هَذَا الْعِلْمَ دِينٌ فَانْظُرُوا عَمَّنْ تَأْخُذُونَ دِينَكُمْ
মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন رحمه الله হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই এ ‘ইলম হলো দ্বীন। কাজেই কার কাছ থেকে তোমরা দ্বীন গ্রহণ করছে তা যাচাই করে নাও।
✍ যারা অযোগ্য লোকদের কাছ থেকে যারা দ্বীন গ্রহণ করে, তাদের সম্পর্কে আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আ’নহু বলেছেন,
“মানুষ তিন প্রকারঃ
(১) আ’লিম (শিক্ষিত বা দ্বীনের ব্যপারে জ্ঞানী ব্যক্তি),
(২) মুতাআ’ল্লিম (দ্বীনের শিক্ষার্থী),
এবং এ দুই প্রকারের লোকজনই হচ্ছে মুক্তির পথে।
(৩) নিম্নমানের এমন লোকজন, যারা যে কোন লোকের কথা অনুসরণ করে এবং তাদের ডাকে সাড়া দেয়।”
[উসুলুস সুন্নাহঃ ১০৭]
✍ কি কি দোষ ধরা পড়লে একজন দাঈ থেকে ইলম নেওয়া যাবেনা যদিও সে আবেদ হয়?
এ প্রসঙ্গে ইমাম মালেক রহি'মাহুল্লাহ বলেন,
"চার প্রকার ব্যক্তির কাছ থেকে ইলম গ্রহণ করো নাঃ
(১) এমন বোকা লোক, যে তার নির্বুদ্ধিতা মানুষের মাঝে প্রচার করে। যদিওবা মুখস্ত হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে সে সবচাইতে পারদর্শী হয়।
(২) বিদআ'তী, যে তার বিদআ'তের দিকে মানুষকে আহবান করে।
(৩) যে ব্যক্তি মানুষের সাথে মিথ্যা বলে, যদিও সে হাদীসের ব্যপারে মিথ্যা বলার জন্য অভিযুক্ত নয়।
(৪) সৎ ও নেককার আবেদ (ইবাদতকারী), কিন্তু সে যা বর্ণনা করে তা যথাযথভাবে মুখস্থ করেনি।
[আস সিয়ার আ'লাম আন-নুবালাঃ ৮/৬১]
ওয়া'বাদ,
আজ আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি
নির্ভেজাল কুরআন-সুন্নাহর একজন নির্ভীক দাঈ (প্রচারক) স্বনামধন্য আলেম ও সুবক্তা ফাদ্বীলাতুশ শায়খ মতিউর রাহমান বিন আব্দুল হাকিম আল মাদানী হাফিয্বাহুল্লাহ-র সাথে, যার প্রজ্ঞা, মেধা,সাহস, গবেষণা,পরিশ্রম ও দলিল ভিত্তিক কর্মতৎপরতার জন্য এনে দিয়েছে এক বিরাট পরিচিতি।
❒ শিক্ষাজীবনঃ
উস্তায মতিউর রাহমান মাদানী হাফিয্বাহুল্লাহ ১৯৬৭ সালের ১০ই জানুয়ারী ভারতের উত্তরবঙ্গের মালদা জেলায় একটি ধার্মিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন!
শিক্ষা জীবনের শুরুতেই তিনি মালদা, ভাদুতে অবস্থিত "ইছলাহুল মুসলিমিন" মাদ্রাসায় দাখিল পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। তারপর ভারতের বিখ্যাত মাদরাসা
জামেয়া সালাফীয়্যাহ বানারসে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে দাওরাহ সম্পন্ন করেন। অতপর সৌদি আরবে পাড়ি জমান এবং মদিনা ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ (হাদিস) ডিগ্রী অর্জন করেন।
উল্লেখ্য যে, উনার সময়ে উনি জামেয়া সালাফীয়্যার সবচেয়ে ব্রিলিয়ান্ট ছাত্রদের একজন ছিলেন! তিনি একই সাথে ভারতীয় ও আরবীয় জায়ান্ট উলামাদের স্বানিধ্য পেয়েছেন! সেইসাথে একঝাক কিবার উলামাদের দারসে উনার সরব উপস্থিতি ছিল!
উনার উস্তাযদের মধ্যে অন্যতম হলেন কালজয়ী সিরাতগ্রন্থ "আর রাহিকুল মাখতূম" এর লিখক কিংবদন্তী আলেমেদ্বীন আল আল্লামাহ সফিউর রাহমান মুবারকপুরী রাহিমাহুল্লাহ।
❒ শায়খের উস্তাযগনঃ
❒ ছাত্রবৃন্দঃ
উস্তায মতিউর রাহমান মাদানী হাফিয্বাহুল্লাহ-র অসংখ্য ছাত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন,
⦁ উস্তায আব্দুর রাক্বিব বুখারী হাফিয্বাহুল্লাহ।
⦁ উস্তায সেলিম উদ্দিন মাদানী হাফিয্বাহুল্লাহ।
❒ কর্মজীবনঃ
তিনি শিক্ষক হিসেবে সাত বছর জামিয়াতুল ইমাম আল-বুখারী, কিষাণগঞ্জ, বিহারে দায়িত্ব পালন করেন!
পরবর্তীতে সৌদি ধর্ম-মন্ত্রণালয়ের অধীনে দাম্মাম ইসলামী কালচারাল সেন্টারে দাঈ হিসেবে যোগদান করেন। দীর্ঘ ২৫ বছরের অধিক সময় ধরে এই সেন্টারের অধীনে দাওয়াতি কাজ করে যাচ্ছেন।
.
❒ পরিবারঃ
৫ মেয়ে আর ৪ ছেলের পিতা হলেন উস্তায মতিউর রহমান মাদানী হাফিয্বাহুল্লাহ। যাদের মধ্যে ৩ ছেলেই কোরআনে হাফেজ এবং মেঝো ছেলে হাফেজ ওবায়েদুল্লাহ বিন মতিউর রাহমান লন্ডনের একটি মসজিদের খতিব ও ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
❒ উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ঠ্য সমুহ:
উস্তায মতিউর রাহমান মাদানী হাফিয্বাহুল্লাহ মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেমন লেখা-পড়া করেছেন, উনার বক্তব্যেও উচ্চ শিক্ষার তেমনি ছাপ প্রতিফলিত হয়। ভার্সিটিগুলোতে যেমন লেকচার দেয়া হয়, উনার লেকচারগুলোও ঐ ধরনের। সুর ধরে, গানের মত বিভিন্ন ভংগিমা আমি উনার কোন লেকচার শুনিনি! সাধারনত: ওয়াজিনে কেরামগন যেমন হন, তিনি সেরকম লেকচারার নন। ছোট বড় মিলিয়ে ইসলামের ভিবিন্ন বিষয়ের উপর লিখিত প্রায় ৫০ টি গ্রন্থের প্রণেতা ও অনুবাদক তিনি! ভাষাগত জ্ঞান, আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান, ইতিহাস, দেশ-বিদেশ, সময়সাময়িক বিষয়সহ অন্যান্য বিষয়ে প্রচুর জ্ঞানের অধিকারী তিনি! উনার জ্ঞানগর্ভ লেকচার, সেমিনার, আলোচনা, খুতবায় রয়েছে তার প্রমাণ!
❒ শায়খের বক্তব্যে যা পাবেনঃ
⦁ উনার বক্তব্যে কোন সুর, গুন্নাহ নেই। বস্তুনিষ্ঠতা ও কুরআন সুন্নাহর রেফারেন্সই তার বক্তব্যের মুল আকর্ষণ। তাই সুর করে মানুষকে আকৃষ্ট করার প্রয়োজন নেই।
⦁ উনার বক্তব্যে কোন বানোয়াট কাহিনী বা জাল যয়ীফের বয়ান নেই। কোরআন ও বিশুদ্ধ হাদীসের বক্তব্য দিয়েই তিনি সুন্দরভাবে বিষয়গুলো বর্ননা করেন, যা অত্যন্ত শ্রুতিমধুর। তাই উনার বক্তব্যে যা কিছু শুনবেন, তার প্রায় সবগুলোই কুরআন বা বিশুদ্ধ হাদীসে পাবেন।
⦁ তিনি আরবী ভাষার উপর অসামান্য পান্ডিত্যের কারনে নিজেই আরবীর শাব্দিক উচ্চারণ থেকে শুরু করে সামগ্রীক অর্থ তুলে ধরেন।
⦁ তিনি কুরআনের নিজের মনগড়া ব্যাখ্যা করেন না বরং সংশ্লিষ্ট কুরআনের আয়াত এবং সহীহ হাদীসের আলোকে সালফে সালেহীনগন কি ব্যাখ্যা করেছেন বা বুঝেছেন তা তুলে ধরেন মাত্র।
⦁ উনার বক্তব্যগুলো শুধু মানুষের মন রহ্মার জন্যই হয় না বরং শিরক-বিদাত, ধর্মীয় কুসংস্কার থেকে মুসলিমকে মুক্ত করে বিশুদ্ধ ঈমান আকীদা গঠনে এবং দ্বীন পালনে সহায়ক দালিলিক বক্তব্যগুলো নির্ভয়ে বলে থাকেন!
⦁ উনার বক্তব্যের আরেকটি বৈশিষ্ট হল, কোন বিষয়ের উপর ৩৬০ ডিগ্রী আলোচনা। তিনি যে বিষয়ের উপর আলোচনা করেন তার উপর কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক চতুর্মুখী আলোচনা করেন। এবং এই আলোচনা শোনার পর আপনি বলতে বাধ্য হবেন যে, এই বিষয়টি সম্পর্কে কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক কিছু তথ্য আমি জানতে পেরেছি (আলহামদুলিল্লাহ)
⦁ ইসলামের প্রায় সকল গুরুত্বপুর্ন শাখায় তার বাংলা বক্তব্য পাওয়া যায়। যা বাংলা বা ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া বাঙ্গালীদের এমনকি traditional মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছাত্রদের দ্বীন শিখতে খুবই গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখতে পারে। এই অকুতোভয় দ্বায়ী ইলাল্লাহকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা দ্বীনের কত গভীর জ্ঞান দিয়েছেন তা উপলব্ধি করার জন্য উনার বিষয়ভিত্তিক লেকচার আর তাফসীর গুলো শ্রবণ করাই যথেষ্ঠ!
❒ শায়খের বক্তব্যে যা পাবেন নাঃ
⦁ রক্তগরম করার মত কোন বক্তব্য পাবেন না
⦁ পাবেন না জান্নাতের কোন সার্টিফিকেট বিলিকরণ!
⦁ পাবেন না কোন মাযহাবী গোড়ামী!
⦁ পাবেন না শিরক-বিদাতের প্রতি নমনীয়তা!
⦁ পাবেন না ভ্রান্ত আকিদাধারীদের তোষামোধ!
⦁ পাবেন না বিদাতি দল, সংগঠন গুলোর দিকে আহবান!
❒ শত্রুদের আস্ফালনের কারণঃ
যারা সঠিক দ্বীনের কাজ করবে তাদের শত্রুও বেড়ে যাবে। কারন শয়তানের জন্য এটা এক বিরাট কষ্টের ব্যাপার! সমাজে প্রচলিত শির্ক,বিদআাত ও অন্যান্য পথভ্রষ্ট বিষয় সংশোধন করা আলেমদের কাজ।
উস্তায যখনই সংশোধনের উদ্দেশ্য মুখ খুলেছেন, তখনই তার শত্রু সংখ্যা অনেক বেড়ে গেল।
তিনি পর্যায়ক্রমে কোরআন-সুন্নাহর আলোকে বিভিন্ন ধর্মীয় লেবাসধারীদের প্রকৃত রূপ তুলে ধরেছেন।
পীর পূজা, কবর পূজা, কুফরী আক্বিদাধারী উলামায়ে ছু, ইলিয়াসী তাবলীগ, মাযহাবী গোঁড়ামী, তাকলীদী,ইসলামী রাজনীতি, ধর্মান্ধতা,গনতন্ত্র, ইকামতে দ্বীন, কথিত ইসলামী দলের অন-ইসলামীক কার্যক্রম, ভ্রান্ত আক্বিদা, মানহাজধারীদের রাদ্দ ও তাদের প্রমোটকারীদের থেকে সতর্কতা ইত্যাদি বিষয়ে যখন কুরআন-সুন্নাহ্ ভিত্তিক বক্তব্য দিতে শুরু করলো তখনই উনার বিরুদ্ধে এক শ্রেনীর দলান্ধ লোক বিষোধগার করতে শুরু করলো!
যাইহোক,
'কবুলিয়াত'এক বিস্ময়কর প্রাপ্তি যা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা-র দান। আল্লাহ্'র দ্বীন টিকিয়ে রাখবেন আল্লাহ্ নিজেই। আল্লাহর রহমতে সর্বসাধারণের মাঝে কারো বিশেষ খেদমত হল সেই "দ্বীন" টিকিয়ে রাখারই অংশমাত্র।
উস্তায মতিউর রহমান মাদানী হাফিয্বাহুল্লাহ ভুলের উর্ধ্বে নয়! তবে প্রতিনিয়ত নিজেকে শুদ্ধ করার চেষ্টা তাঁর চর্চাতে প্রকাশ পায়। বিস্তর বিষয়ে তাঁর ব্যাপক আলোচনার দৃশ্যমান স্বাক্ষ্য ইউটিউব জুড়ে। ঘন্টাব্যাপী বিষয়ভিত্তিক এইসকল আলোচনা প্রায় ১২শ ছাড়িয়ে গেছে যা বাংলাভাষী দ্বায়ীদের মধ্যে এক কথায় অবিশ্বাস্য! উনার আগে উনার মত বাংলাভাষী আর কোন আলেম এত বেশী লেকচার এবং অল্প সময়ে এত দাওয়াতি সাফল্য পেয়েছেন কিনা তা আমার জানা নেই!
✍ মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা বলেন,
'তার চাইতে উত্তম কথা আর কার হতে পারে, যে মানুষকে আল্লাহ্র পথে আহ্বান করে, নিজে সৎ কর্ম করে এবং বলে আমি তো আল্লাহ্র অনুগত্যদের একজন।'
[সুরা ফুসিলাতঃ ৩৩]
পরিশেষে দোয়া করি,
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা "প্রিয় উস্তায"কে হায়াতে তাইয়্যেবা দান করুণ, উনার অর্জিত জ্ঞানকে আরোও পরিশুদ্ধ করুণ,উনাকে সকল প্রকার অকল্যাণ ও শত্রুদের শত্রুতা থেকে হিফাজত করুণ, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হেদায়েতের উপর কায়েম রাখুন এবং আমাদেরকে "প্রিয় উস্তাযের" সাথে জান্নাতে মিলিত হওয়ার তাওফীক্ব দান করুন।
[আ-মীন]
❒ সংকলনেঃ
আল্লাহর এক গুনাহগার বান্দা,
আখতার বিন আমীর।
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা-র জন্য এবং অসংখ্য সলাত ও সালাম বর্ষিত হোক সর্বশেষ নাবী ও রাসূল মুহাম্মাদ ﷺ-এর প্রতি।
✍ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা বলেন:
إِنَّمَا يَخْشَى اللَّهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمَاءُ
“আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে আলেমরাই তো তাঁকে ভয় করে থাকে।”
[সূরা ফাতির-২৮]
এর ব্যাখ্যায় সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, আলেম যিনি আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করেন না। আল্লাহ্কৃত হালালকে হালাল মনে করেন এবং হারামকে হারাম মনে করেন। তার আদেশ যথাযথভাবে পালন করেন। আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের ব্যাপারে দৃঢ় বিশ্বাস রাখেন এবং বিশ্বাস রাখেন যে তার আমলের হিসাব হবে’
[ইবনু কাছীর]
✍ রাসূলুল্লাহ ﷺ-বলেন,
“আর আবেদের ওপর আলেমের শ্রেষ্ঠত্ব সকল তারকার ওপর চাঁদের শ্রেষ্ঠত্বের মতো। নিশ্চয় আলেমগণ নবীদের উত্তরাধিকারী। তবে নবীগণ দিনার বা দিরহামের উত্তরাধিকারী বানান না। তাঁরা কেবল ইলমের ওয়ারিশ বানান। অতএব যে তা গ্রহণ করে সে পূর্ণ অংশই পায়।”
[সুনানে তিরমিযী : ২৬৮২]
❒ সুচনাঃ
নিশ্চয়ই ইলমের ধারক বাহক হলেন উলামাগন এবং তার উৎস হল কোরআন ও সুন্নাহ!
ইলম নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত উলামাদের দারস্ত হওয়া অাবশ্যক! জীবনের সর্বক্ষেত্রে যারা সালাফদের মতাদর্শ গ্রহণ করে অর্থাৎ মানহাজ, আক্বীদাহ, ফিক্বহ, রাজনীতি, অর্থনীতিসহ সকল ক্ষেত্রে সালাফদের নীতি ও মানহাজের ওপরে চলে কেবল তাদেরকেই বিশ্বস্ত উলামা,দ্বায়ী বলা যায় এবং তাদের থেকেই দ্বীন নেওয়াটা অধিক নিরাপদ! মাজহুল কিংবা সালাফদের মানহাজের উপর প্রতিস্ঠিত নয় এমন কারো কাছ থেকে ইলম নেওয়াটা মোটেও নিরাপদ নয় কেননা হতে পারে তা আপনার দ্বীনকে ধংস করে দিবে!
✍ ইমাম মুসলিম رحمه الله বর্ণনা করেন (মুকাদ্দিমাহ),
عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، قَالَ إِنَّ هَذَا الْعِلْمَ دِينٌ فَانْظُرُوا عَمَّنْ تَأْخُذُونَ دِينَكُمْ
মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন رحمه الله হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই এ ‘ইলম হলো দ্বীন। কাজেই কার কাছ থেকে তোমরা দ্বীন গ্রহণ করছে তা যাচাই করে নাও।
✍ যারা অযোগ্য লোকদের কাছ থেকে যারা দ্বীন গ্রহণ করে, তাদের সম্পর্কে আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আ’নহু বলেছেন,
“মানুষ তিন প্রকারঃ
(১) আ’লিম (শিক্ষিত বা দ্বীনের ব্যপারে জ্ঞানী ব্যক্তি),
(২) মুতাআ’ল্লিম (দ্বীনের শিক্ষার্থী),
এবং এ দুই প্রকারের লোকজনই হচ্ছে মুক্তির পথে।
(৩) নিম্নমানের এমন লোকজন, যারা যে কোন লোকের কথা অনুসরণ করে এবং তাদের ডাকে সাড়া দেয়।”
[উসুলুস সুন্নাহঃ ১০৭]
✍ কি কি দোষ ধরা পড়লে একজন দাঈ থেকে ইলম নেওয়া যাবেনা যদিও সে আবেদ হয়?
এ প্রসঙ্গে ইমাম মালেক রহি'মাহুল্লাহ বলেন,
"চার প্রকার ব্যক্তির কাছ থেকে ইলম গ্রহণ করো নাঃ
(১) এমন বোকা লোক, যে তার নির্বুদ্ধিতা মানুষের মাঝে প্রচার করে। যদিওবা মুখস্ত হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে সে সবচাইতে পারদর্শী হয়।
(২) বিদআ'তী, যে তার বিদআ'তের দিকে মানুষকে আহবান করে।
(৩) যে ব্যক্তি মানুষের সাথে মিথ্যা বলে, যদিও সে হাদীসের ব্যপারে মিথ্যা বলার জন্য অভিযুক্ত নয়।
(৪) সৎ ও নেককার আবেদ (ইবাদতকারী), কিন্তু সে যা বর্ণনা করে তা যথাযথভাবে মুখস্থ করেনি।
[আস সিয়ার আ'লাম আন-নুবালাঃ ৮/৬১]
ওয়া'বাদ,
আজ আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি
নির্ভেজাল কুরআন-সুন্নাহর একজন নির্ভীক দাঈ (প্রচারক) স্বনামধন্য আলেম ও সুবক্তা ফাদ্বীলাতুশ শায়খ মতিউর রাহমান বিন আব্দুল হাকিম আল মাদানী হাফিয্বাহুল্লাহ-র সাথে, যার প্রজ্ঞা, মেধা,সাহস, গবেষণা,পরিশ্রম ও দলিল ভিত্তিক কর্মতৎপরতার জন্য এনে দিয়েছে এক বিরাট পরিচিতি।
❒ শিক্ষাজীবনঃ
উস্তায মতিউর রাহমান মাদানী হাফিয্বাহুল্লাহ ১৯৬৭ সালের ১০ই জানুয়ারী ভারতের উত্তরবঙ্গের মালদা জেলায় একটি ধার্মিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন!
শিক্ষা জীবনের শুরুতেই তিনি মালদা, ভাদুতে অবস্থিত "ইছলাহুল মুসলিমিন" মাদ্রাসায় দাখিল পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। তারপর ভারতের বিখ্যাত মাদরাসা
জামেয়া সালাফীয়্যাহ বানারসে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে দাওরাহ সম্পন্ন করেন। অতপর সৌদি আরবে পাড়ি জমান এবং মদিনা ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ (হাদিস) ডিগ্রী অর্জন করেন।
উল্লেখ্য যে, উনার সময়ে উনি জামেয়া সালাফীয়্যার সবচেয়ে ব্রিলিয়ান্ট ছাত্রদের একজন ছিলেন! তিনি একই সাথে ভারতীয় ও আরবীয় জায়ান্ট উলামাদের স্বানিধ্য পেয়েছেন! সেইসাথে একঝাক কিবার উলামাদের দারসে উনার সরব উপস্থিতি ছিল!
উনার উস্তাযদের মধ্যে অন্যতম হলেন কালজয়ী সিরাতগ্রন্থ "আর রাহিকুল মাখতূম" এর লিখক কিংবদন্তী আলেমেদ্বীন আল আল্লামাহ সফিউর রাহমান মুবারকপুরী রাহিমাহুল্লাহ।
❒ শায়খের উস্তাযগনঃ
❒ ছাত্রবৃন্দঃ
উস্তায মতিউর রাহমান মাদানী হাফিয্বাহুল্লাহ-র অসংখ্য ছাত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন,
⦁ উস্তায আব্দুর রাক্বিব বুখারী হাফিয্বাহুল্লাহ।
⦁ উস্তায সেলিম উদ্দিন মাদানী হাফিয্বাহুল্লাহ।
❒ কর্মজীবনঃ
তিনি শিক্ষক হিসেবে সাত বছর জামিয়াতুল ইমাম আল-বুখারী, কিষাণগঞ্জ, বিহারে দায়িত্ব পালন করেন!
পরবর্তীতে সৌদি ধর্ম-মন্ত্রণালয়ের অধীনে দাম্মাম ইসলামী কালচারাল সেন্টারে দাঈ হিসেবে যোগদান করেন। দীর্ঘ ২৫ বছরের অধিক সময় ধরে এই সেন্টারের অধীনে দাওয়াতি কাজ করে যাচ্ছেন।
.
❒ পরিবারঃ
৫ মেয়ে আর ৪ ছেলের পিতা হলেন উস্তায মতিউর রহমান মাদানী হাফিয্বাহুল্লাহ। যাদের মধ্যে ৩ ছেলেই কোরআনে হাফেজ এবং মেঝো ছেলে হাফেজ ওবায়েদুল্লাহ বিন মতিউর রাহমান লন্ডনের একটি মসজিদের খতিব ও ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
❒ উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ঠ্য সমুহ:
উস্তায মতিউর রাহমান মাদানী হাফিয্বাহুল্লাহ মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেমন লেখা-পড়া করেছেন, উনার বক্তব্যেও উচ্চ শিক্ষার তেমনি ছাপ প্রতিফলিত হয়। ভার্সিটিগুলোতে যেমন লেকচার দেয়া হয়, উনার লেকচারগুলোও ঐ ধরনের। সুর ধরে, গানের মত বিভিন্ন ভংগিমা আমি উনার কোন লেকচার শুনিনি! সাধারনত: ওয়াজিনে কেরামগন যেমন হন, তিনি সেরকম লেকচারার নন। ছোট বড় মিলিয়ে ইসলামের ভিবিন্ন বিষয়ের উপর লিখিত প্রায় ৫০ টি গ্রন্থের প্রণেতা ও অনুবাদক তিনি! ভাষাগত জ্ঞান, আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান, ইতিহাস, দেশ-বিদেশ, সময়সাময়িক বিষয়সহ অন্যান্য বিষয়ে প্রচুর জ্ঞানের অধিকারী তিনি! উনার জ্ঞানগর্ভ লেকচার, সেমিনার, আলোচনা, খুতবায় রয়েছে তার প্রমাণ!
❒ শায়খের বক্তব্যে যা পাবেনঃ
⦁ উনার বক্তব্যে কোন সুর, গুন্নাহ নেই। বস্তুনিষ্ঠতা ও কুরআন সুন্নাহর রেফারেন্সই তার বক্তব্যের মুল আকর্ষণ। তাই সুর করে মানুষকে আকৃষ্ট করার প্রয়োজন নেই।
⦁ উনার বক্তব্যে কোন বানোয়াট কাহিনী বা জাল যয়ীফের বয়ান নেই। কোরআন ও বিশুদ্ধ হাদীসের বক্তব্য দিয়েই তিনি সুন্দরভাবে বিষয়গুলো বর্ননা করেন, যা অত্যন্ত শ্রুতিমধুর। তাই উনার বক্তব্যে যা কিছু শুনবেন, তার প্রায় সবগুলোই কুরআন বা বিশুদ্ধ হাদীসে পাবেন।
⦁ তিনি আরবী ভাষার উপর অসামান্য পান্ডিত্যের কারনে নিজেই আরবীর শাব্দিক উচ্চারণ থেকে শুরু করে সামগ্রীক অর্থ তুলে ধরেন।
⦁ তিনি কুরআনের নিজের মনগড়া ব্যাখ্যা করেন না বরং সংশ্লিষ্ট কুরআনের আয়াত এবং সহীহ হাদীসের আলোকে সালফে সালেহীনগন কি ব্যাখ্যা করেছেন বা বুঝেছেন তা তুলে ধরেন মাত্র।
⦁ উনার বক্তব্যগুলো শুধু মানুষের মন রহ্মার জন্যই হয় না বরং শিরক-বিদাত, ধর্মীয় কুসংস্কার থেকে মুসলিমকে মুক্ত করে বিশুদ্ধ ঈমান আকীদা গঠনে এবং দ্বীন পালনে সহায়ক দালিলিক বক্তব্যগুলো নির্ভয়ে বলে থাকেন!
⦁ উনার বক্তব্যের আরেকটি বৈশিষ্ট হল, কোন বিষয়ের উপর ৩৬০ ডিগ্রী আলোচনা। তিনি যে বিষয়ের উপর আলোচনা করেন তার উপর কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক চতুর্মুখী আলোচনা করেন। এবং এই আলোচনা শোনার পর আপনি বলতে বাধ্য হবেন যে, এই বিষয়টি সম্পর্কে কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক কিছু তথ্য আমি জানতে পেরেছি (আলহামদুলিল্লাহ)
⦁ ইসলামের প্রায় সকল গুরুত্বপুর্ন শাখায় তার বাংলা বক্তব্য পাওয়া যায়। যা বাংলা বা ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া বাঙ্গালীদের এমনকি traditional মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছাত্রদের দ্বীন শিখতে খুবই গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখতে পারে। এই অকুতোভয় দ্বায়ী ইলাল্লাহকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা দ্বীনের কত গভীর জ্ঞান দিয়েছেন তা উপলব্ধি করার জন্য উনার বিষয়ভিত্তিক লেকচার আর তাফসীর গুলো শ্রবণ করাই যথেষ্ঠ!
❒ শায়খের বক্তব্যে যা পাবেন নাঃ
⦁ রক্তগরম করার মত কোন বক্তব্য পাবেন না
⦁ পাবেন না জান্নাতের কোন সার্টিফিকেট বিলিকরণ!
⦁ পাবেন না কোন মাযহাবী গোড়ামী!
⦁ পাবেন না শিরক-বিদাতের প্রতি নমনীয়তা!
⦁ পাবেন না ভ্রান্ত আকিদাধারীদের তোষামোধ!
⦁ পাবেন না বিদাতি দল, সংগঠন গুলোর দিকে আহবান!
❒ শত্রুদের আস্ফালনের কারণঃ
যারা সঠিক দ্বীনের কাজ করবে তাদের শত্রুও বেড়ে যাবে। কারন শয়তানের জন্য এটা এক বিরাট কষ্টের ব্যাপার! সমাজে প্রচলিত শির্ক,বিদআাত ও অন্যান্য পথভ্রষ্ট বিষয় সংশোধন করা আলেমদের কাজ।
উস্তায যখনই সংশোধনের উদ্দেশ্য মুখ খুলেছেন, তখনই তার শত্রু সংখ্যা অনেক বেড়ে গেল।
তিনি পর্যায়ক্রমে কোরআন-সুন্নাহর আলোকে বিভিন্ন ধর্মীয় লেবাসধারীদের প্রকৃত রূপ তুলে ধরেছেন।
পীর পূজা, কবর পূজা, কুফরী আক্বিদাধারী উলামায়ে ছু, ইলিয়াসী তাবলীগ, মাযহাবী গোঁড়ামী, তাকলীদী,ইসলামী রাজনীতি, ধর্মান্ধতা,গনতন্ত্র, ইকামতে দ্বীন, কথিত ইসলামী দলের অন-ইসলামীক কার্যক্রম, ভ্রান্ত আক্বিদা, মানহাজধারীদের রাদ্দ ও তাদের প্রমোটকারীদের থেকে সতর্কতা ইত্যাদি বিষয়ে যখন কুরআন-সুন্নাহ্ ভিত্তিক বক্তব্য দিতে শুরু করলো তখনই উনার বিরুদ্ধে এক শ্রেনীর দলান্ধ লোক বিষোধগার করতে শুরু করলো!
যাইহোক,
'কবুলিয়াত'এক বিস্ময়কর প্রাপ্তি যা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা-র দান। আল্লাহ্'র দ্বীন টিকিয়ে রাখবেন আল্লাহ্ নিজেই। আল্লাহর রহমতে সর্বসাধারণের মাঝে কারো বিশেষ খেদমত হল সেই "দ্বীন" টিকিয়ে রাখারই অংশমাত্র।
উস্তায মতিউর রহমান মাদানী হাফিয্বাহুল্লাহ ভুলের উর্ধ্বে নয়! তবে প্রতিনিয়ত নিজেকে শুদ্ধ করার চেষ্টা তাঁর চর্চাতে প্রকাশ পায়। বিস্তর বিষয়ে তাঁর ব্যাপক আলোচনার দৃশ্যমান স্বাক্ষ্য ইউটিউব জুড়ে। ঘন্টাব্যাপী বিষয়ভিত্তিক এইসকল আলোচনা প্রায় ১২শ ছাড়িয়ে গেছে যা বাংলাভাষী দ্বায়ীদের মধ্যে এক কথায় অবিশ্বাস্য! উনার আগে উনার মত বাংলাভাষী আর কোন আলেম এত বেশী লেকচার এবং অল্প সময়ে এত দাওয়াতি সাফল্য পেয়েছেন কিনা তা আমার জানা নেই!
✍ মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা বলেন,
'তার চাইতে উত্তম কথা আর কার হতে পারে, যে মানুষকে আল্লাহ্র পথে আহ্বান করে, নিজে সৎ কর্ম করে এবং বলে আমি তো আল্লাহ্র অনুগত্যদের একজন।'
[সুরা ফুসিলাতঃ ৩৩]
পরিশেষে দোয়া করি,
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা "প্রিয় উস্তায"কে হায়াতে তাইয়্যেবা দান করুণ, উনার অর্জিত জ্ঞানকে আরোও পরিশুদ্ধ করুণ,উনাকে সকল প্রকার অকল্যাণ ও শত্রুদের শত্রুতা থেকে হিফাজত করুণ, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হেদায়েতের উপর কায়েম রাখুন এবং আমাদেরকে "প্রিয় উস্তাযের" সাথে জান্নাতে মিলিত হওয়ার তাওফীক্ব দান করুন।
[আ-মীন]
❒ সংকলনেঃ
আল্লাহর এক গুনাহগার বান্দা,
আখতার বিন আমীর।
0 Comments