প্রচলিত নামাজ বনাম রাসুলুল্লাহ সঃ এর নামাজ!!
আল্লাহর হেদায়েতকিভাবে পাবো এবংসহীহ নামাজকিভাবে পড়বো?যাচাই করুন হাদীসদ্বারা !ﻭَﺃَﻧﻔِﻘُﻮﺍ ﻣِﻦ ﻣَّﺎ ﺭَﺯَﻗْﻨَﺎﻛُﻢ ﻣِّﻦ ﻗَﺒْﻞِ ﺃَﻥ ﻳَﺄْﺗِﻲَ ﺃَﺣَﺪَﻛُﻢُ ﺍﻟْﻤَﻮْﺕُﻓَﻴَﻘُﻮﻝَ ﺭَﺏِّ ﻟَﻮْﻟَﺎ ﺃَﺧَّﺮْﺗَﻨِﻲ ﺇِﻟَﻰ ﺃَﺟَﻞٍ ﻗَﺮِﻳﺐٍ ﻓَﺄَﺻَّﺪَّﻕَ ﻭَﺃَﻛُﻦﻣِّﻦَ ﺍﻟﺼَّﺎﻟِﺤِﻴﻦَআমি তোমাদেরকে যা দিয়েছি, তা থেকেমৃত্যু আসার আগেই ব্যয় কর। অন্যথায় সেবলবেঃ হে আমার পালনকর্তা, আমাকে আরওকিছুকাল অবকাশ দিলে না কেন? তাহলেআমি সদকা করতাম এবং সৎকর্মীদেরঅন্তর্ভুক্ত হতাম। (সূরা মুনাফিকুন-১০)ﻛَﻴْﻒَ ﻳَﻬْﺪِﻱ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻗَﻮْﻣًﺎ ﻛَﻔَﺮُﻭﺍْ ﺑَﻌْﺪَ ﺇِﻳﻤَﺎﻧِﻬِﻢْ ﻭَﺷَﻬِﺪُﻭﺍْ ﺃَﻥَّﺍﻟﺮَّﺳُﻮﻝَ ﺣَﻖٌّ ﻭَﺟَﺎﺀﻫُﻢُ ﺍﻟْﺒَﻴِّﻨَﺎﺕُ ﻭَﺍﻟﻠّﻪُ ﻻَ ﻳَﻬْﺪِﻱ ﺍﻟْﻘَﻮْﻡَﺍﻟﻈَّﺎﻟِﻤِﻴﻦَকেমন করে আল্লাহ এমন জাতিকে হেদায়েতদান করবেন, যারা ঈমান আনার পর এবংরসূলকে সত্য বলে সাক্ষ্য দেয়ার পর এবংতাদের নিকট প্রমাণ এসে যাওয়ার পরকাফের হয়েছে। আর আল্লাহ জালেমসম্প্রদায়কে হেদায়েত দান করেন না। (সূরাআল ইমরান-৮৬)ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﺍﺳْﺘَﻌِﻴﻨُﻮﺍْ ﺑِﺎﻟﺼَّﺒْﺮِ ﻭَﺍﻟﺼَّﻼَﺓِ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻣَﻊَﺍﻟﺼَّﺎﺑِﺮِﻳﻦَহে মুমিন গন! তোমরা ধৈর্য্য ও নামাযেরমাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চিতইআল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে রয়েছেন। (সূরাআল বাক্বারাহ-১৫৩)আমরা যে নামাজ পড়ি, তা আসলে কতটুকুসহীহ ? যাচাই করুন হাদীস দ্বারা !
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে। প্রচলিত সালাতে তাকবীরে তাহরীমারসময়ই কেবল রফউল ইয়াদাঈন বা কাধ বরাবরদু’হাত উঠানো হয়,
কিন্তু রুকূতে যাওয়ার সময়,রুকূ হতে উঠার সময় এবং তিন বা চার রাকাতবিশিষ্ট সালাতে দ্বিতীয় রাকাত হতে উঠারসময় রফউল ইয়াদাঈন বা কাধ বরাবর দু’হাতউঠানো হয় না। এটা সহীহ হাসীস বিরুধী।বরং রাসূল (সা: ) সালাত শুরু করার সময়অর্থাৎ তাকবীরে তাহরীমার সময়, রুকূতেযাওয়ার সময়, রুকূ থেকে উঠার সময় এবংদু’রাকাত পড়ে তৃতীয় রাকাতের জন্য উঠেরফউল ইয়াদাঈন বা কাধ বরাবর দু’হাতউঠাতেন। দেখুন-বুখারী ১ম খন্ড ১০২ পৃ:, মুসলিম১ম খন্ড ১৬৮ পৃ: নাসাঈ ১৮১/১৫৮, ১৬২ পৃ:, আবুদাউদ ১ম খন্ড১০৪/১০৫ পৃ:, তিরমিযী ১ম খন্ড ৩৫পৃ:, ঈবনু মাজাহ ৬২ পৃ:, মিশকাত ৭৫ পৃ: সহীহইবনু খুযাইমাহ ৯৫/৯৬ পৃ:, বাংলা বুখারীআধুনিক প্রকাশনী ১ম খন্ড ৩২১ পৃ:।
৮) প্রচলিত সালাতে দাড়িঁয়ে নাভীর নিচেহাত বাঁধা হয়। এটাও সহীহ হাদীসের বিপরীত,রাসূল (সা: ) সব সময়ই ডান হাত বাম হাতেরউপর রেখে বুকের উপর বা সিনার উপর হাতবাধতেন। এটাই সুন্নাত। (বুখারী ১ম খন্ড ১০২পৃ:, মুসলিম ১ম খন্ড ১৭৩ পৃ:, আবু দাউদ ১ম খন্ড১০ পৃ:, তিরমিযী ৩৪/৩৫ পৃ:, নাসাঈ ১৪১ পৃ: ইবনুমাজাহ ৫৯ পৃ:, মিশকাত ৭৫ পৃ:, সহীহ ইবনুখুযাইমাহ ১ম খন্ড ২২৩ পৃ:, মুআত্তা মুহাম্মদ ১৬০পৃ: )
৯) সমাজে প্রচলিত বিতর সালাতেদু’রাকাতের পর বৈঠক করে ‘আত্তাহিয়্যাতু’পড়া হয় এবং তৃতীয় রা’কাতে দু’আ কুনুতেরপূর্বে নতুন করে দু হাত তোলা হয় এটা সহীহহাদীসের বিপরীত। বিতর সালাতের বৈঠকএকটি। দু’রাকাতের পর বৈঠক নেই এবং দু’আকুনুতের পূর্বে হাত তোলার নির্দেশ সহীহহাদীসে নেই। দেখুন- মুসলিম ১ম খন্ড ২৫৪ পৃ:,আবু দাউদ ১৮৯ পৃ:, নাসাঈ ২৫০ পৃ:।
এছাড়াওবিতর এক রাকাত, তিন, পাচঁ, সাত ও নয়রা’কাতও সহীহ। দেখুন- মুসলিম ১ম খন্ড ২৫৪ পৃ:,আবু দাউদ ২০১ পৃ:, নাসাঈ ২৪৬-২৪৭ পৃ:।
১৩) প্রচলিত জুমুআর সালাতে আখেরী যোহরনামে ৪ রাকাত সালাত আদায় করা হয়। এসালাতের কোন সহীহ দলিল নেই। এটাঅতিরিক্ত, দ্বীনের মধ্যে নব্য আবিষ্কৃত সবকাজই বিদাত। আল্লাহ বিদাতকারির কোনইবাদতই কবুল করেননা। (ইবনু মাজাহ ৬ পৃ১৪)
আমাদের দেশে সালাতের বৈঠকের‘আত্তাহিয়াতু’ পড়ার সময় আশহাদুআল্লাইলাহা বলার সাথে সাথে শাহাদাতআংগুল উঠিয়ে আবার টুপ করে নামিয়েফেলা হয়। এরূপ করার কোন হাদীস নেই বরংআত্তাহিয়াতু পড়া শুরু থেকে বৈঠকের শেষপর্যন্ত দান মুষ্টিবদ্ধ করে রাখতে হবে অথবাঅন্যগুলোর সাথে মিলিয়ে শাহাদাত আংগুলনাড়াতে হবে। (মুসলিম ২১৬, পৃ:, আবু দাউদ ১৪২পৃ:, তিরমিযী ৩৮-৩৯ পৃ:, নাসাঈ ১৮৭ পৃ: )১৫)
অযূ করার সময় দেখা যায় অনেকে মাথারএক তৃতীয়াংশ মাসাহ করেন। এটা হাদীসবিরোধী। বরং সম্পূর্ন মাথা মাসেহ করারাসূল (সা: ) এর সুন্নাত। পুরুষ ও মহিলার জন্যএকই নিয়ম। আর ঘাঢ় মাসেহ করার কোনহাদীস নেই। (বুখারী, ইবনু মাজাহ: সূরামায়িদাহ ৬ )।
১৬) ফজর বা অন্য কোন সালাতের জামাত শুরুহওয়ার পর কেউ মসজিদে এলে তাকে সুন্নাতনা পড়েই জামাতে শরীক হতে হবে।
0 Comments