(দেওবন্দ )মাননীয় মুফতী সাহেবের কাছে আমার জানার বিষয় হলো, জানাযার নামাযের পর সবাই হাত তুলে দোয়া করা কী জায়েয ?
প্রশ্নঃ
আসসালামু আলাইকুম।
আসসালামু আলাইকুম।
মাননীয় মুফতী সাহেবের কাছে আমার জানার বিষয় হলো, জানাযার নামাযের পর সবাই হাত তুলে দোয়া করা কী জায়েয ? আমাদের এলাকায় দেখা যায় অনেক হুজুর এটা করে থোকে। দলিল সহ কারে জানাবেন।
উত্তরঃ
ওয়ালাইকুমুস সালাম ।
ওয়ালাইকুমুস সালাম ।
শরীয়তে মুহাম্মদিয়ায় যখন কোন মুসলমান মারা যায় তখন তার মাগফিরাতের জন্য বিশেষভাবে কিছু দুআ করা হয়। ঐ বিশেষ প্রক্রিয়ায় দুআ করার নাম জানাযার নামাজ। এই জানাযার নামাজ ফরজে কেফায়া,
যদি কিছু লোক আদায় করে তাহলে সবার পক্ষ থেকে তা আদায় হয়ে যাবে। অর্থাৎ মহল্লাবাসী সকল লোকের পক্ষ হইতেই ফরয আদায় হইয়া যায়, আর কেউ আদায় না করিলে প্রত্যেকেই গুণাহগার হইতে হইবে।
এই জানাযার (দোয়া) পর পূনরায় হাত উঠিয়ে দোয়া করা সম্পূর্ণ বিদআত। নবী করীম (সঃ) সাহাবায়ে কিরাম এমন কি কোন ইমামগণ থেকেও এর কোন প্রমান নাই। নবী করীম (সঃ) যে তিনটি যুগকে শ্রেষ্ট যুগ হিসাবে ভবিষ্যত বাণী দিয়ে গেছেন উনাদের থেকেও এর কোন প্রমান নাই।
যদি কিছু লোক আদায় করে তাহলে সবার পক্ষ থেকে তা আদায় হয়ে যাবে। অর্থাৎ মহল্লাবাসী সকল লোকের পক্ষ হইতেই ফরয আদায় হইয়া যায়, আর কেউ আদায় না করিলে প্রত্যেকেই গুণাহগার হইতে হইবে।
এই জানাযার (দোয়া) পর পূনরায় হাত উঠিয়ে দোয়া করা সম্পূর্ণ বিদআত। নবী করীম (সঃ) সাহাবায়ে কিরাম এমন কি কোন ইমামগণ থেকেও এর কোন প্রমান নাই। নবী করীম (সঃ) যে তিনটি যুগকে শ্রেষ্ট যুগ হিসাবে ভবিষ্যত বাণী দিয়ে গেছেন উনাদের থেকেও এর কোন প্রমান নাই।
আর হাদীসে আছে রাসূল সাঃ বলেন,
عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدٌّ
অর্থ, হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আমাদের ধর্মে নেই এমন বিষয় ধর্মীয় বিষয় বলে আবিস্কার করে তা পরিত্যাজ্য।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৭১৮, বুখারী, হাদীস নং-২৬৯৭)
عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدٌّ
অর্থ, হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আমাদের ধর্মে নেই এমন বিষয় ধর্মীয় বিষয় বলে আবিস্কার করে তা পরিত্যাজ্য।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৭১৮, বুখারী, হাদীস নং-২৬৯৭)
হযরত ইরবাস বিন সারিয়া রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন,
مَنْ يَعِشْ مِنْكُمْ يَرَى بَعْدِي اخْتِلَافًا كَثِيرًا، فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِي وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ الْمَهْدِيِّينَ، وَعَضُّوا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ، وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ، فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ، وَإِنَّ كُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ
অর্থ, তোমাদের মাঝে আমার পর জীবিত থাকবে, তারা অনেক মতভেদ দেখবে। তখন তোমাদের উপর আমার এবং আমার হেদায়াতপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নত আঁকড়ে ধরবে। সেটিকে মাড়ির দাত দিয়ে কামড়ে রাখবে। আর সাবধান থাকবে নব উদ্ভাবিত ধর্মীয় বিষয় থেকে। কেননা ধর্ম বিষয়ে প্রতিটি নতুন বিষয়ই বিদআত। আর প্রতিটি বিদআতই গোমরাহী।
(মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৭১৪৪)
مَنْ يَعِشْ مِنْكُمْ يَرَى بَعْدِي اخْتِلَافًا كَثِيرًا، فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِي وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ الْمَهْدِيِّينَ، وَعَضُّوا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ، وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ، فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ، وَإِنَّ كُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ
অর্থ, তোমাদের মাঝে আমার পর জীবিত থাকবে, তারা অনেক মতভেদ দেখবে। তখন তোমাদের উপর আমার এবং আমার হেদায়াতপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নত আঁকড়ে ধরবে। সেটিকে মাড়ির দাত দিয়ে কামড়ে রাখবে। আর সাবধান থাকবে নব উদ্ভাবিত ধর্মীয় বিষয় থেকে। কেননা ধর্ম বিষয়ে প্রতিটি নতুন বিষয়ই বিদআত। আর প্রতিটি বিদআতই গোমরাহী।
(মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৭১৪৪)
মিশকাতুল মাসাবিহর প্রসিদ্ধ ব্যাখ্যা গ্রন্থ মিরকাতুল মাফাতীহ গ্রন্থে আছে,
ولا يدعو للميت بعد صلوة الجنازة لانه يشبه الزيادة فى صلوة الجنازة
অর্থাতঃ জানাযার নামাজের পর ময়্যতের জন্য কোন দোয়া নাই। কেননা এটা একটা জানাযার নামাযে অতিতিক্ত কাজ করার মত।
(মিরকাতুল মাফাতীহঃ ৪/৬৪)
ولا يدعو للميت بعد صلوة الجنازة لانه يشبه الزيادة فى صلوة الجنازة
অর্থাতঃ জানাযার নামাজের পর ময়্যতের জন্য কোন দোয়া নাই। কেননা এটা একটা জানাযার নামাযে অতিতিক্ত কাজ করার মত।
(মিরকাতুল মাফাতীহঃ ৪/৬৪)
ফাতওয়ায়ে বাযযাযিয়্যার মধ্যে আছে,
لا يقوم بالدعاء بعد صلوة الجنازة لانه دعاء مرة
অের্থ, জানাযার পর দোয়ার জন্য অপেক্ষা করোনা কেননা জানাযা হল একটা দোয়া।
(ফাতওয়ায়ে বাযযাযিয়্যাঃ ৫/৮০)
لا يقوم بالدعاء بعد صلوة الجنازة لانه دعاء مرة
অের্থ, জানাযার পর দোয়ার জন্য অপেক্ষা করোনা কেননা জানাযা হল একটা দোয়া।
(ফাতওয়ায়ে বাযযাযিয়্যাঃ ৫/৮০)
কান্নুযদাকায়েক এর ব্যাখ্যাগ্রন্থ বাহরুর রায়েক আছে,
لا يدعو بعد التسليم
অর্থ, সালামের পর আর কোন দোয়া নাই।
(বাহরুর রায়েকঃ ২/১৮৩)
لا يدعو بعد التسليم
অর্থ, সালামের পর আর কোন দোয়া নাই।
(বাহরুর রায়েকঃ ২/১৮৩)
আল্লামা তক্বী উসমানী (বাঃ) উনার লিখিত কিতাব ফাতওয়ায়ে উসমানিতে লিখেন জানাযার পরে দোয়া করা বিদআত, একাজ তরক করা ওয়াজিব।
(ফাতওয়ায়ে উসমানী, খঃ ১, পৃঃ ১২২/২৩)।
(ফাতওয়ায়ে উসমানী, খঃ ১, পৃঃ ১২২/২৩)।
সুতরাং উল্লেখিত হাদীস এবং ফিকাহ-ফাতওয়ার কিতাবের আলোচনার আলোকে একথা প্রমানীত হয় যে, প্রশ্নে বর্ণিত সুরতে তথা জানাযার নামাযের পর হাত তুলে দোয়া করা সম্পূর্নরূপে না জায়েয ও বেদয়াত। এসব কাজ থেকে বেছে থাকা চাই।
আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের সকল কে সমস্ত বিদআত থেকে হেফাজত করুক।
আমীন!! http://fiqhehanafi.com/fiqhe/1413
আমীন!! http://fiqhehanafi.com/fiqhe/1413
0 Comments