Ticker

100/recent/ticker-posts

তারিখ ও সময়

[ | | ]

মৃত ব্যক্তিকে দু‘আ করা মুস্তাহাবপ্রথম তাকবীর জানাযা সলাতে যে দু’আগুলো পড়তে হয় জানাযার সলাতে তাকবীরের সংখ্যা

মৃত ব্যক্তির পরিবারের জন্য খাবার পাঠানো মুস্তাহাব

৫৯৪
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: لَمَّا جَاءَ نَعْيُ جَعْفَرٍ -حِينَ قُتِلَ- قَالَ النَّبِيُّ - صلى الله عليه وسلم -: «اصْنَعُوا لِآلِ جَعْفَرٍ طَعَامًا، فَقَدْ أَتَاهُمْ مَا يَشْغَلُهُمْ» أَخْرَجَهُ الْخَمْسَةُ، إِلَّا النَّسَائِيَّআব্দুল্লাহ্ বিন জা’ফর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যখন জা’ফরের নিহত (শহীদ) হবার সংবাদ (মাদীনাহতে) পৌঁছল তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, -জা’ফরের পরিবারবর্গের জন্য তোমরা খাবার তৈরী কর। কারণ তাদের নিকট এমন এক বিপদ এসেছে যা তাদেরকে শোকাভিভূত কিংকর্তব্যবিমূঢ করে ফেলেছে। [৬৩০]-  [৬৩০] তিরমিযী ৯৯৮, আবূ দাঊদ ২১৩২, ইবনু মাজাহ ১৬১০।

পরিচ্ছেদ ৪৩.

মৃত ব্যক্তিকে দাফনের পরে তার জন্য দু‘আ করা মুস্তাহাব৫৮২
وَعَنْ عُثْمَانَ - رضي الله عنه - قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - إِذَا فَرَغَ مِنْ دَفْنِ الْمَيِّتِ وَقَفَ عَلَيْهِ وَقَالَ: «اسْتَغْفِرُوا لِأَخِيكُمْ وَسَلُوا لَهُ التَّثْبِيتَ، فَإِنَّهُ الْآنَ يُسْأَلُ» رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، وَصَحَّحَهُ الْحَاكِمُউসমান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুর্দার দাফন সম্পন্ন করে স্থির হয়ে দাঁড়াতেন ও বলতেন, -তোমরা তোমাদের ভাই-এর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর, আর তার ঠিক (অবিচল) থাকার প্রার্থনা কর। কেননা সে এখনই প্রশ্নের সম্মুখীন হবে। হাকিম একে সহীহ্ বলেছেন। [৬১৯]-  [৬১৯] আবূ দাঊদ ৩২২১, হাকিম ১/৩৭০,  হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ৩১.
মৃত ব্যক্তির জন্য আন্তরিকতার সাথে দু‘আ করার নির্দেশ৫৬৮
وَعَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «إِذَا صَلَّيْتُمْ عَلَى الْمَيِّتِ فَأَخْلِصُوا لَهُ الدُّعَاءَ» رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، وَصَحَّحَهُ ابْنُ حِبَّانَআবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যখন তোমরা কোন মৃতের জন্য সলাত আদায় করবে-তখন তার জন্য আন্তুরিকভাবে দু‘আ কর। আবূ দাঊদ। ইবনু হিব্বান একে সহীহ্ বলেছেন। [৬০৫]
জানাযা সলাতে যে দু’আগুলো পড়তে হয়
৫৬৬
وَعَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ - رضي الله عنه - قَالَ: صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - عَلَى جَنَازَةٍ، فَحَفِظْتُ مِنْ دُعَائِهِ: «اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ، وَارْحَمْهُ وَعَافِهِ، وَاعْفُ عَنْهُ، وَأَكْرِمْ نُزُلَهُ، وَوَسِّعْ مُدْخَلَهُ، وَاغْسِلْهُ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ، وَنَقِّهِ مِنَ الخَطَايَا كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الْأَبْيَضَ مِنَ الدَّنَسِ، وَأَبْدِلْهُ دَارًا خَيْرًا مِنْ دَارِهِ، وَأَهْلًا خَيْرًا مِنْ أَهْلِهِ، وَأَدْخِلْهُ الْجَنَّةَ، وَقِهِ فِتْنَةَ الْقَبْرِ وَعَذَابَ النَّارِ» رَوَاهُ مُسْلِمٌ
‘আউফ্ বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি জানাযার সলাত আদায় করছিলেন; আমি তাঁর এ দুআটি মুখস্থ করে নিলাম। উচ্চারণঃ আল্লাহুম-মাগফির লাহূ ওয়ারহামহু, ওয়া ‘আফিহি, ওয়া’ফু আন্‌হু, ওয়া আক্‌রিম নুযুলাহূ, ওয়া ওয়াস্‌সি মাদ-খালাহূ, ওয়াগসিলহু বিলমা’ই ওয়াস সাল্‌জি ওয়াল বারাদি, ওয়া নাক্কিহী মিনাল খাতাইয়া কামা নাক্কায়তাস সাউবাল আবইয়াযা মিনাদ দানাসি, ওয়া আবদিলহু দারান খায়রান মিন দারিহি, ওয়া আহলান খায়রান মিন আহলিহী, ওয়া যাওজান খায়রান মিন যাওজিহি, ওয়া আদ্‌খিলহুল জান্নাতা, ওয়াকিহী ফিতনাতাল কাবরি ওয়া ‘আযাবান নার] অর্থঃ ইয়া আল্লাহ, তাকে ক্ষমা করে দাও, তার উপর করুণা কর, তাকে শক্তি দাও এবং তাকে রেহাই দাও। তার উপর সহৃদয় হও এবং তার প্রবেশদ্বার প্রশস্ত করে দাও এবং তাকে পানি, বরফ ও তুষার দ্বারা ধৌত করে দাও। তার গুনাহসমূহ পরিস্কার করে দাও, সাদা কাপড় যে ভাবে দাগমুক্ত করে ধৌত করা হয়। সে যে ধরণের আবাসের সঙ্গে পরিচিত তার থেকে তাকে উত্তম আবাস দাও এবং যে ধরণের পরিবারের সঙ্গে পরিচিত তার থেকে উত্তম পরিবার দাও এবং তার স্ত্রী হতে উত্তম স্ত্রী দাও। তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাও এবং কবরের ফিতনা হতে আর জাহা্ন্নামের আগুন হতে তাকে রক্ষা কর। [৬০৩]
[৬০৩] মুসলিম ৯৬৩, তিরমিযী ১০২৫, নাসায়ী ১৯৮৩, ১৯৮৪, মুসলিমের বর্ণনায় আরো রয়েছে, আওফ (রাঃ) বলেনঃ [আরবী] মৃত ব্যক্তির উপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উক্ত দু‘য়ার কারণে আমি কামনা করেছিলাম যদি আমি সেই মৃত ব্যক্তিটি হতাম!
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

৫৬৭
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - إِذَا صَلَّى عَلَى جَنَازَةٍ يَقُولُ: «اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِحَيِّنَا وَمَيِّتِنَا، وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا، وَصَغِيرِنَا وَكَبِيرِنَا، وَذَكَرِنَا وَأُنْثَانَا، اللَّهُمَّ مَنْ أَحْيَيْتَهُ مِنَّا فَأَحْيِهِ عَلَى الْإِسْلَامِ، وَمَنْ تَوَفَّيْتَهُ مِنَّا فَتَوَفَّهُ عَلَى الْإِيمَانِ، اللَّهُمَّ لَا تَحْرِمْنَا أَجْرَهُ، وَلَا تَفْتِنَّا بَعْدَهُ» رَوَاهُ مُسْلِمٌ وَالْأَرْبَعَةُআবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জানাযার সলাতে বলতেন : উচ্চারণ : আল্লাহুম-মাগফির লিহাইয়্যিনা, ওয়া মাইয়্যিতিনা, ওয়া শাহিদিনা, ওয়া গায়িবিনা, ওয়া সাগীরিনা ওয়া কাবী-রিনা, ওয়া যাকারিনা ওয়া উনসানা। আল্লাহুম্মা মান আহইয়ায়তাহূ মিন্না ফা আহইহী ‘আলাল ইসলামি ওয়া মান তাওয়াফ্‌ফায়তাহূ মিন্না ফাতাওয়াফ্‌ফাহু ‘আলাল ঈমানি, আল্লাহুম্মা লা তাহ্‌রিমনা আজরাহূ ওয়ালা তুযিল্লানা বা’দাহু্। অর্থঃ “হে আল্লাহ্! আমাদের জীবিত-মৃত, উপস্থিত, অনুপস্থিত, ছোট বড়, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলকে ক্ষমা করো। হে আল্লাহ্! তুমি আমাদের মধ্যে যাকে জীবিত রাখো তাকে ইসলামের উপর জীবিত রাখো এবং আমাদের মধ্যে যাকে মৃত্যু দান করো, তাকে ঈমানের সাথে মৃত্যুদান করো। হে আল্লাহ্! আমাদেরকে এর প্রতিদান থেকে বঞ্চিত করো না এবং এর পরে আমাদের পথভ্রষ্ট করো না।” [৬০৪]
[৬০৪] আবূ দাঊদ ৩২০১, ৩২০০, তিরমিযী ১০২৪, ইবনু মাজাহ ১৪৯৮, নাসায়ী ১৯৮৬। হাদীসটি মূলতঃ মুসলিমে নেই।

প্রথম তাকবীর পর (জানাযা সালাতে) সূরা ফাতিহা পড়া আবশ্যক৫৬৫
وَعَنْ طَلْحَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَوْفٍ قَالَ: صَلَّيْتُ خَلْفَ ابْنِ عَبَّاسٍ عَلَى جَنَازَةٍ، فَقَرَأَ فَاتِحَةَ الكِتَابِ فَقَالَ: لِتَعْلَمُوا أَنَّهَا سُنَّةٌ. رَوَاهُ الْبُخَارِيُّত্বলহাহ্ ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইব্‌নু ‘আওফ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) এর পিছনে জানাযার সলাত আদায় করলাম। তাতে তিনি সূরা ফাতিহা পাঠ করলেন এবং (সলাত শেষে) বললেন, (আমি সূরা ফাতিহা পাঠ করলাম) যাতে লোকেরা জানতে পারে যে, এটা সুন্নাত। [৬০২]
[৬০২] বুখারী ১৩৩৫, তিরমিযী ১০২৪, ১০২৬, ১০২৭, নাসায়ী ১৯৮৭, আবূ দাঊদ ২১৯৮।

জানাযার সলাতে তাকবীরের সংখ্যা
৫৬২
وَعَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى قَالَ: كَانَ زَيْدُ بْنُ أَرْقَمَ يُكَبِّرُ عَلَى جَنَائِزِنَا أَرْبَعًا، وَإِنَّهُ كَبَّرَ عَلَى جَنَازَةٍ خَمْسًا، فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - يُكَبِّرُهَا. رَوَاهُ مُسْلِمٌ وَالْأَرْبَعَةُ
আবদুর রহমান বিন আবূ লাইলা (রহ.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যায়দ ইবনু আরকাম (রাঃ) আমাদের জানাযার সলাতে চার তাকবীর বলতেন। তিনি এক জানাযার সলাতে পাঁচ তাকবীর বলেন। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাঁচ তাকবীরও বলেছেন। [৫৯৯]

Post a Comment

0 Comments