Ticker

100/recent/ticker-posts

তারিখ ও সময়

[ | | ]

জানাযার সলাতে তাকবীর,সূরা ফাতিহা,যে সব দো‘আ পড়া , তার হাদিস

পরিচ্ছদঃ ২৩/৬৪. জানাযার সলাতে তাকবীর চারটি।

وَقَالَ حُمَيْدٌ صَلَّى بِنَا أَنَسٌ t فَكَبَّرَ ثَلاَثًا ثُمَّ سَلَّمَ فَقِيلَ لَهُ فَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ ثُمَّ كَبَّرَ الرَّابِعَةَ ثُمَّ سَلَّمَ
হুমাইদ (রহ.) বলেন, আনাস (রাঃ) একবার আমাদের নিয়ে (জানাযার) সালাত আদায় করলেন, তিন বার তাক্বীর বললেন, অতঃপর সালাম ফিরালেন। এ ব্যাপারে তাঁকে জানানো হলে, তিনি কিব্লামুখী হয়ে চতুর্থ তাক্বীর দিলেন, অতঃপর সালাম ফিরালেন।
১৩৩৩. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাজাশীর মৃত্যুর দিন তাঁর মৃত্যু খবর জানালেন এবং সাহাবীবর্গকে সঙ্গে নিয়ে জানাযার সালাতের স্থানে গেলেন এবং তাদেরকে সারিবদ্ধ করে চার তাক্বীরে জানাযার সালাত আদায় করলেন। (১২৪৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১২৪৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১২৫২)

পরিচ্ছদঃ ২৩/৬৫. জানাযার সলাতে সূরা ফাতিহা পাঠ করা।

وَقَالَ الْحَسَنُ يَقْرَأُ عَلَى الطِّفْلِ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَيَقُولُ اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ لَنَا فَرَطًا وَسَلَفًا وَأَجْرًا
হাসান (রহ.) বলেছেন, শিশুর জানাযার সালাতে সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত করবে এবং দু‘আ পড়বে। হে আল্লাহ্! তাকে আমাদের জন্য অগ্রে প্রেরিত, অগ্রগামী এবং আমাদের পুরস্কার স্বরূপ গ্রহণ কর।
১৩৩৫. ত্বলহাহ্ ইবনু ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘আওফ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘আববাস (রাঃ)-এর পিছনে জানাযার সালাত আদায় করলাম। তাতে তিনি সূরা ফাতিহা পাঠ করলেন [1] এবং (সালাত শেষে) বললেন, (আমি সূরা ফাতিহা পাঠ করলাম) যাতে লোকেরা জানতে পারে যে, এটা সুন্নাত। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১২৪৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১২৫৪)
[1] একদল লোক বলেন, সলাতে জানাযায় রুকুও নেই, সাজদাহও নেই, ফলে তা তাওয়াফের অনুরূপ। তাওয়াফ বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য সূরা আল-ফাতিহা পাঠের প্রয়োজন হয় না, ঠিক তেমনি সলাতে জানাযাও বিশুদ্ধ হবার জন্য সূরা ফাতিহা পাঠের কোন দরকার হয় না। এটা সুস্পষ্ট সহীহ হাদীসের মোকাবিলায় নিছক মনগড়া কিয়াস-যা সম্পূর্ণ নাজায়িয। তালহা বিল আবদুল্লাহ বিন আউফ (রাঃ) বর্ণিত বুখারীর উল্লিখিত হাদীস ছাড়াও সুনানে নাসায়ী ইত্যাদি গ্রন্থে সলাতে জানাযায় সূরা ফাতিহা পাঠের স্বপক্ষে আরও হাদীস রয়েছে। সুনানে নাসায়ীর হাদীসটি ‘উসমান (রাঃ) হতে বর্ণিত। এ হাদীস সম্পর্কে আল্লামাহ শাইখ উবাইদুল্লাহ রাহমানী তাঁর মিশকাতের বিখ্যাত ভাষ্যগ্রন্থ ‘মিরআতুল মাফাতীহ’-তে মন্তব্য করেছেন- নাসায়ীতে বর্ণিত আবূ উমামাহর হাদীসটির সূত্র বুখারী ও সহীহ মুসলিমের হাদীসের শর্ত ভিত্তিক। হাদীস শাস্ত্রের মহাপন্ডিত হাফিয ইবনু হাজার আসকালানী এ হাদীস সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন- হাদীসটির বর্ণনা সূত্র বিশুদ্ধ। আল্লামাহ রাহমানী বলেছেন- বাস্তব ও যথার্থ কথা এই যে, সলাতে জানাযায় সূরা ফাতিহা পাঠ ওয়াজিব। ইমাম শাফিয়ী, ইমাম আহমাদ, ইমাম ইসহাক (রহঃ) প্রমুখ আয়িম্মায়ে দ্বীন এ বিষয়ে একমত যে, জানাযা অনুষ্ঠানটি সলাতের অন্তর্ভুক্ত আর এটা সুপ্রমাণিত যে, সূরা ফাতিহা ব্যতীত কোন সলাতই সহীহ হয় না। হাদীসের এই ব্যাপকতা সাধারণভাবে সকল সলাতের উপর প্রযোজ্য হবে। সলাতে জানাযায় সূরা ফাতিহা পাঠ না করার স্বপক্ষে মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত রিওয়ায়াতটি পেশ করা হয়, যার অর্থ হলঃ ইবনু মাসউদ (রাঃ) বলেছেন, আমাদের পক্ষে মাইয়্যিতের জানাযায় কোন কিরা‘আত ও কাওল নির্ধারণ করা হয়নি। অর্থাৎ সলাতে জানাযায় কিরা‘আতের স্থান বা সময়সূচী নির্ধারণ করে দেয়া হয়নি। এ সম্পর্কে আল্লামাহ রাহমানী বলেন, এ রিওয়ায়াতটি কিরা‘আত পাঠ না করা প্রমাণ করে না। তাছাড়া ইবনু মাসউদ থেকেই পরিষ্কার রিওয়ায়াত আছে, তিনি সলাতে জানাযায় সূরা ফাতিহা পাঠ করেছেন। হানাফী মাযহাবের প্রখ্যাত ফাক্বীহ হাসানসার নাবলালী তাঁর রচিত ‘‘আল নাজমুল মুস্তাতাব লি হুকমিল রিফাতে ফি সালাতিল জানাযাতে বে উম্মিল কিতাব’’ নামক গ্রন্থে প্রমাণ করে দেখিয়েছেন যে, সলাতে সূরা ফাতিহা পাঠ না করার চেয়ে ফাতিহা পাঠ করা বহুগুণে উত্তম। আল্লামাহ আবদুল হাই লাক্ষ্ণৌবী হানাফী তাঁর শরহে বিকায়ার ভাষ্য উমদাতুর রিয়ায়া গ্রন্থে লিখেছেন, সলাতে জানাযায় সূরা ফাতিহা পাঠ বিষয়ে ইমাম আবূ হানীফার সিদ্ধান্তের চেয়ে ইমাম শাফিয়ীর সিদ্ধান্তই দলীল হিসেবে অনেক মজবুত। আমাদের হানাফী ফকীহমন্ডলীর আল্লামাহ সার নাবলালী ইমাম শাফিয়ীর ফতওয়া পছন্দ করেছেন। কেননা আবূ উমামাহ বলেছেন, জানাযার সলাতে সূরা ফাতিহা পাঠ নাবী -এর নির্ধারিত বিধান- (উমদাতুর রিয়ায়া ১ম খন্ড ১৮৯ পৃষ্ঠা)। কাযী সানাউল্লাহ পানিপথী জীবনের অন্তিমকালে বহু বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন ও পুত্র পরিজনের সামনে শক্তভাবে অসিয়ত রাখেন যে, আমার সলাতে জানাযায় যেন বিপুল মুসল্লীবৃন্দের সমাবেশ ঘটে, আর মুহাম্মাদ আলী অথবা হাকীম সুখয়া অথবা পীর মুহাম্মাদ আমার জানাযায় পেশ ইমাম হন। বায়াদা তাকবীরে উলা সূরা ফাতিহা হাম খোয়াননদ। (অর্থাৎ তারা যেন প্রথম তাকবীরের পর সূরা আল-ফাতিহাও পাঠ করেন- (মালাবুদ্দা মিনহু)। মাওলানা আশরাফ আলী থানবীর মহাগুরু মাওলানা রশীদ আহমাদ গাঙ্গুহী এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন- ইমাম সাহেব (রহঃ) জানাযার সলাতে কিরা‘আতের নিয়তে কুরআন পাঠ নিষেধ করেছেন, তা দু‘আর নিয়তে পাঠ করলে দোষ নেই। অতঃপর তিনি বলেন, যদি কিরা‘আতের নিয়তেও পাঠ করা হয় তাহলেও গুনাহগার হবে না। কেননা হাদীস বিশারদ মুহাদ্দিসমন্ডলীর ও ইমাম শাফিয়ীর গবেষণা মতে সলাতে জানাযায় সূরা ফাতিহা পাঠ রসূলুল্লাহ -এর বিধান। কাজেই গুনাহগারও হবে না- (ফাতওয়া রাশিদীয়া কামিল ২৫৮ পৃষ্ঠা)।

হানাফী ইমাম মুল্লা আলী ক্বারী বলেন, সলাতে জানাযায় দু‘আর নিয়তে সূরা ফাতিহা পাঠ মুস্তাহাব। এতে ইমাম শাফিয়ীর শক্ত দলিল ভিত্তিক অভিমতের বিরোধিতা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে- (রাদ্দুল মুহতার)।

বড় পীর সাহেব তাঁর বিশ্ব বিশ্রুত গুনিয়াতুত তালেবীনে লিখেছেন- সলাতে জানাযায় তাকবীর বলবে প্রথম তাকবীরের পর সূরা ফাতিহা পাঠ করবে। কেননা ‘আবদুল্লাহ বিন ‘আববাস (রাঃ) বলেছেন- আল্লাহর রসূল আমাদের নির্দেশ দান করেছেন, সলাতে জানাযায় যেন সূরা ফাতিহা পাঠ করা হয়। অতঃপর দ্বিতীয় তাকবীরের পর সলাতের তাশাহ্হুদের মত যেন নাবীর প্রতি দরূদ পাঠ করা হয়, কেননা তাবিয়ী ইমাম মুজাহিদ বলেছেন, আমি আল্লাহর রসূল -এর অষ্টাদশ সহচরকে সলাতে জানাযা বিষয়ে জিজ্ঞেস করেছি, তাঁরা সকলেই বলেছেন, তুমি তাকবীর উচ্চারণ করবে, তারপর সূরা আল-ফাতিহা পাঠ করবে। আবার তুমি তাকবীর ধ্বনি উচ্চারণ করে নাবী -এর প্রতি দরূদ পড়বে। অতঃপর আল্লাহু আকবার বলে তোমার পছন্দমত মাইয়্যিত ব্যক্তির উদ্দেশে দু‘আ আবৃত্তি করবে- (গুনিয়াতুত তালেবীন- উর্দু অনুবাদ সহ ১০৫ পৃষ্ঠা)। ইমাম ও মুজতাহিদমন্ডলীর শিরোমণি শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলভী লিখেছেন- সলাতে জানাযার বিধানসমূহের মধ্যে সূরা ফাতিহা পাঠও একটি বিধান। যেহেতু সূরা ফাতিহা সর্বাপেক্ষা উত্তম ও সবচাইতে পূর্ণাঙ্গ দু‘আ যা খোদ আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দাগণকে স্বীয় পবিত্র কিতাবে শিক্ষাদান করেছেন- (হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা- উর্দু অনুবাদ সহ ১২৩ পৃষ্ঠা)।

জানাযার সলাতে সানা পাঠ করার প্রমাণ পাওয়া যায় না এবং আলবানী এটি বিদ‘আত হিসেবে চিমিত করেছেন। (আহকামুল জানায়িয- বিদ‘আত নং- ৭৬, পৃষ্ঠা ৩১৬)

রিয়াজুস সালেহীন - জানায়েজ- মৃতের জন্য তাকে দাফন করার পর দো‘আ এবং তার জন্য দো‘আ, ইস্তিগফার

পরিচ্ছদঃ ১৫৭: জানাযার নামাযে যে সব দো‘আ পড়া হয়

জানাযার নামাযে চার তকবীর বলবে। প্রথম তকবীরের পর ‘আউযু বিল্লাহ’ পড়ে সূরা ফাতিহা পড়বে। অতঃপর দ্বিতীয় তকবীর বলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি দরূদ পড়বে। বলবে, ‘আল্লাহুম্মা স্বাল্লি আলা মুহাম্মাদ, অআলা আ-লি মুহাম্মাদ।’ উত্তম হল ‘কামা স্বাল্লাইতা আলা ইবরা-হীমা অ আলা আ-লি ইবরা-হীম, ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ’ পর্যন্ত পুরো পড়া। অধিকাংশ সাধারণ লোকের মত শুধু (সূরা আহযাবের ৫৬নং) এই আয়াতটি ‘ইন্নাল্লাহা অমালাইকাতাহু ইউস্বাল্লূনা আলান নাবী’ যেন না পড়ে।  কারণ, এইটুকু পড়েই যথেষ্ট করলে নামায শুদ্ধ হবে না।
অতঃপর তৃতীয় তকবীর বলে মৃতের এবং সকল মুসলিমের জন্য যে সমস্ত দো‘আ পড়বে সে সম্পর্কিত একাধিক হাদীস আমি পরবর্তীতে বর্ণনা করব—ইন-শাআল্লাহু তা‘আলা। পুনরায় চতুর্থ তকবীর বলবে এবং দো‘আ করবে। এখানে সর্বোত্তম দো‘আর মধ্যে এটি একটি, ‘আল্লা-হুম্মা লা তাহরিমনা আজরাহু অলা তাফতিন্না বা’দাহ, অগফির লানা অ লাহ।’
 চতুর্থ তকবীরের পর লম্বা দো‘আ করা পছন্দনীয়, অথচ অধিকাংশ লোকের এর বিপরীত অভ্যাস রয়েছে। এ ব্যাপারে ইবনে আবী আওফা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে প্রমাণিত আছে, যা পরবর্তীতে উল্লেখ করব---ইন-শাআল্লাহু তা‘আলা।
পক্ষান্তরে তৃতীয় তকবীরের পর যে দো‘আগুলি প্রমাণিত আছে তার মধ্যে কিছু নিম্নরূপঃ-
১/৯৪০। আবূ আব্দুর রহমান আওফ ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক জানাযায় নামায পড়লেন। আমি তাঁর দো‘আ মুখস্থ করে ফেললাম। সে দো‘আ হল এইঃ-
‘আল্লা-হুম্মাগফির লাহু অরহামহু অ‘আ-ফিহী অ‘ফু ‘আনহু অআকরিম নুযুলাহু অঅসসি‘ মুদখালাহু, অগসিলহু বিলমা-ই অসসালজি অল-বারাদ। অনাক্কিহী মিনাল খাত্বায়্যা কামা নাক্কাইতাস সাউবাল আবয়্যাদা মিনাদ দানাস। অ আবদিলহু দা-রান খাইরাম মিন দা-রিহী অ আহলান খাইরাম মিন আহলিহী অযাওজান খাইরাম মিন যাওজিহ। অ আদখিলহুল জান্নাতা অ আ‘ইযহু মিন ‘আযা-বিল ক্বাবরি অমিন ‘আযা-বিন্নার।’
অর্থ- হে আল্লাহ! তুমি ওকে ক্ষমা করে দাও এবং ওকে রহম কর। ওকে নিরাপত্তা দাও এবং মার্জনা করে দাও, ওর মেহেমানী সম্মানজনক কর এবং ওর প্রবেশস্থল প্রশস্ত কর। ওকে তুমি পানি, বরফ ও শিলাবৃষ্টি দ্বারা ধৌত করে দাও এবং ওকে গোনাহ থেকে এমন পরিষ্কার কর, যেমন তুমি সাদা কাপড় ময়লা থেকে পরিষ্কার করেছ। আর ওকে তুমি ওর ঘর অপেক্ষা উৎকৃষ্ট ঘর, ওর পরিবার অপেক্ষা উত্তম পরিবার, ওর জুড়ী অপেক্ষা উৎকৃষ্ট জুড়ী দান কর। ওকে জান্নাতে প্রবেশ করাও এবং কবর ও জাহান্নামের আযাব থেকে রেহাই দাও।
(বর্ণনাকারী সাহাবী আউফ ইবন মালেক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যখন এই দো‘আ বলতে শুনলাম) তখন আমি এই কামনা করলাম যে, যদি আমি এই মাইয়্যেত হতাম! (মুসলিম) [1]
[1] মুসলিম ৯৬৩, তিরমিযী ১০২৫, নাসায়ী ১৯৮৩, ১৯৮৪, ইবনু মাজাহ ১৫০০, আহমাদ ২৩৪৫৫, ২৩৪৮০
হাদিসের মানঃ  সহিহ (Sahih)

পরিচ্ছদঃ ১৫৭: জানাযার নামাযে যে সব দো‘আ পড়া হয়

২/৯৪১, ৩/৯৪২, ৪/৯৪৩। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু আবূ কাতাদাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু এবং আবূ ইব্রাহীম আশহালী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুতাঁর পিতা হতে যিনি সাহাবী ছিলেন বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক জানাযার নামায পড়ার সময় এই দো‘আ পড়লেন,
‘আল্লা-হুম্মাগফির লিহাইয়িনা অমাইয়িতিনা অস্বাগীরিনা অকাবীরিনা অযাকারিনা অউনসা-না অ শা-হিদিনা অগা-য়িবিনা, আল্লা-হুম্মা মান আহয়্যাইতাহু মিন্না ফাআহয়িহি ‘আলাল ইসলাম, অমান তাওয়াফ্ফাইতাহু মিন্না ফাতাওয়াফ্ফাহু ‘আলাল ঈমান, আল্লা-হুম্মা লা তাহরিমনা আজরাহ, অলা তাফতিন্না বা‘দাহ।’

অর্থ- হে আল্লাহ! আমাদের জীবিত-মৃত, ছোট-বড়, পুরুষ ও নারী, উপস্থিত ও অনুপস্থিতকে ক্ষমা করে দাও। হে আল্লাহ! আমাদের মধ্যে যাকে তুমি জীবিত রাখবে তাকে ইসলামের উপর জীবিত রাখ এবং যাকে মরণ দিবে তাকে ঈমানের উপর মরণ দাও। হে আল্লাহ! ওর সওয়াব থেকে আমাদেরকে বঞ্চিত করো না এবং ওর পরে আমাদেরকে ফিতনায় ফেলো না।
(তিরমিযী আবূ হুরাইরা ও আশহালী হতে, আবূ দাউদ আবূ হুরাইরা ও আবূ ক্বাতাদাহ হতে। হাকেম বলেছেন আবূ হুরাইরার হাদীস বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ। তিরমিযী বলেন বুখারী বলেছেন এ হাদীসের সবচেয়ে সহীহ বর্ণনা হল আশহালীর বর্ণনা। বুখারী বলেন এ বিষয়ে সবচেয়ে সহীহ হল আওফ ইবন মালেকের হাদীস।) 
[1] আবূ দাউদ ৩২০১, তিরমিযী ১০২৪, নাসায়ী ১৯৮৬, আহমাদ ১৭০৯২, ২২৯৮৪

পরিচ্ছদঃ ১৫৭: জানাযার নামাযে যে সব দো‘আ পড়া হয়

৫/৯৪৪। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘‘যখন তোমরা মৃতের জানাযা পড়বে, তখন তার জন্য আন্তরিকতার সাথে দো‘আ করো।’’ (আবু দাঊদ) আবূ দাউদ ৩১৯৯, ইবনু মাজাহ ১৪৯৭

পরিচ্ছদঃ ১৫৭: জানাযার নামাযে যে সব দো‘আ পড়া হয়

৭/৯৪৬। ওয়াসেলাহ ইবনে আসকা’ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে এক মুসলিম ব্যক্তির জানাযার নামায পড়ালেন। সুতরাং আমি তাঁকে এই দো‘আটি বলতে শুনলাম,
‘আল্লা-হুম্মা ইন্না ফুলা-নাবনা ফুলা-নিন ফী যিম্মাতিকা অহাবলি জিওয়ারিক, ফাক্বিহী ফিতনাতাল ক্বাবরি অ আযা-বান্নার, অ আন্তা আহলুল অফা-ই অলহাম্দ, ফাগ্ফির লাহু অরহামহু ইন্নাকা আন্তাল গাফূরুর রাহীম।’
অর্থ- হে আল্লাহ! নিশ্চয় অমুকের পুত্র অমুক তোমার দায়িত্বে এবং তোমার আমানতে। অতএব ওকে তুমি কবর ও জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা কর। তুমি প্রতিশ্রুতি পালনকারী ও প্রশংসার পাত্র। সুতরাং ওকে তুমি মাফ করে দাও এবং ওর প্রতি দয়া কর। নিঃসন্দেহে তুমিই মহাক্ষমাশীল অতি দয়াবান। (আবূ দাউদ) [1] 
[1] আবূ দাউদ ৩২০২, ইবনু মাজাহ ১৪৯৯, আহমাদ ১৫৫৮৮

দোয়া নাসায়ি হাদিস

পরিচ্ছদঃ ৭৭/ দোয়া

১৯৮৭। আহমাদ ইবনু আমর (রহঃ) ... আউফ ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে একবার জানাজার সালাতে বলতে শুনেছিঃ
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ وَاعْفُ عَنْهُ وَعَافِهِ وَأَكْرِمْ نُزُلَهُ وَوَسِّعْ مُدْخَلَهُ وَاغْسِلْهُ بِمَاءٍ وَثَلْجٍ وَبَرَدٍ وَنَقِّهِ مِنَ الْخَطَايَا كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الأَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ وَأَبْدِلْهُ دَارًا خَيْرًا مِنْ دَارِهِ وَأَهْلاً خَيْرًا مِنْ أَهْلِهِ وَزَوْجًا خَيْرًا مِنْ زَوْجِهِ وَقِهِ عَذَابَ الْقَبْرِ وَعَذَابَ النَّارِ
আউফ (রাঃ) বলেন, আমি আকাংক্ষা করেছিলাম যে, যদি সেই মৃত ব্যক্তিটি আমি হতাম যেই মৃত ব্যক্তির জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দোয়া করেছিলেন।
[সহীহ। ইবন মাজাহ ১৫০০]

পরিচ্ছদঃ ৭৭/ দোয়া সূরা ফাতিহা

১৯৯১। হায়ছম ইবনু আয়্যুব (রহঃ) ... তালহা ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু আব্বাস (রাঃ)-এর পেছনে জানাযার সালাত আদায় করেছিলাম। তাতে তিনি সূরা ফাতিহা এবং অন্য একটি সূরা তিলাওয়াত করেছিলেন এবং এতটুকু উচ্চ সূরে তিলাওয়াত করেছিলেন যে, আমরা তা শুনতে পেয়েছিলাম। যখন তিনি অবসর হলেন আমি তাঁর হস্ত ধারণ পূর্বক জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, এটা সুন্নাত এবং সঠিক। [সহীহ]

পরিচ্ছদঃ ৭৭/ দোয়া সূরা ফাতিহা

১৯৯২। মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ... তালহা ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু আব্বাস (রাঃ)-এর পেছনে জানাজার সালাত আদায় করেছিলাম। আমি তার সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত শুনতে পেলাম। যখন তিনি অবসর হলেন আমি তার হস্ত ধারণ পূর্বক জিজ্ঞাসা করলাম: আপনি জানাজার সালাতে সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত করেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ! এটা তো সুন্নাত এবং সঠিক।[সহীহ। ইবন মাজাহ ১৪৯৫]

পরিচ্ছদঃ ৭৭/ দোয়া 

১৯৯৩। কুতায়বা (রহঃ) ... আবূ উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জানাযার সালাতে সূন্নাত হল প্রথম তাকবীর চুপেচুপে সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত করবে। অতঃপর আরো তিনটি তাকবীর বলবে; শেষ তাকবীরে সালাম ফিরাবে।   [সহীহ। আহকাম ১১১ ও ১২১-১২২]
প্রথম তাকবীর পর (জানাযা সালাতে) সূরা ফাতিহা পড়া আবশ্যক
৫৬৫
وَعَنْ طَلْحَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَوْفٍ قَالَ: صَلَّيْتُ خَلْفَ ابْنِ عَبَّاسٍ عَلَى جَنَازَةٍ، فَقَرَأَ فَاتِحَةَ الكِتَابِ فَقَالَ: لِتَعْلَمُوا أَنَّهَا سُنَّةٌ. رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ
ত্বলহাহ্ ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইব্‌নু ‘আওফ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) এর পিছনে জানাযার সলাত আদায় করলাম। তাতে তিনি সূরা ফাতিহা পাঠ করলেন এবং (সলাত শেষে) বললেন, (আমি সূরা ফাতিহা পাঠ করলাম) যাতে লোকেরা জানতে পারে যে, এটা সুন্নাত। [৬০২]
[৬০২] বুখারী ১৩৩৫, তিরমিযী ১০২৪, ১০২৬, ১০২৭, নাসায়ী ১৯৮৭, আবূ দাঊদ ২১৯৮।

জানাযার সলাতে তাকবীরের সংখ্যা
৫৬২
وَعَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى قَالَ: كَانَ زَيْدُ بْنُ أَرْقَمَ يُكَبِّرُ عَلَى جَنَائِزِنَا أَرْبَعًا، وَإِنَّهُ كَبَّرَ عَلَى جَنَازَةٍ خَمْسًا، فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - يُكَبِّرُهَا. رَوَاهُ مُسْلِمٌ وَالْأَرْبَعَةُ

আবদুর রহমান বিন আবূ লাইলা (রহ.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যায়দ ইবনু আরকাম (রাঃ) আমাদের জানাযার সলাতে চার তাকবীর বলতেন। তিনি এক জানাযার সলাতে পাঁচ তাকবীর বলেন। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাঁচ তাকবীরও বলেছেন। [৫৯৯]
মুখতাসার যাদুল মা‘আদ= জানাযার সলাতের তাকবীর সংখ্যা
মুখতাসার যাদুল মা‘আদ অনুচ্ছেদ সমুহের সূচী ও বিবরন ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ)

জানাযার সলাতের তাকবীর সংখ্যা

তিনি চার তাকবীরে জানাযা সলাত পড়তেন। তাঁর থেকে পাঁচ তাকবীরের কথাও সহীহ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। সাহাবীগণ চার, পাঁচ এবং ছয় তাকবীরেও জানাযা সলাত পড়তেন। আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদের ছাত্র আলকামা বলেন- আমি আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ) কে বললাম- শাম থেকে মুআয বিন জাবালের কিছু সাথী আগমণ করেছে। তারা তাদের একজন মাইয়্যেতের জানাযা সলাতে পাঁচ তাকবীর দিয়েছে। তিনি বললেন- মাইয়্যেতের জানাযা সলাতে তাকবীরের কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই। ইমাম যে কয়টি তাকবীর দেয় তুমিও সেই কয়টি তাকবীর দাও। আর ইমাম যখন সালাম ফেরাবে তখন তুমিও সালাম ফিরাও।[1]
ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করা হল, আপনার কি জানা আছে যে, নাবী (সাঃ) এর কোন সাহাবী জানাযা সলাতে দুই দিকে সালাম ফিরাতেন? তিনি বললেন- না। তবে ছয়জন সাহাবী থেকে জানা যাচ্ছে যে, তারা শুধু ডান দিকে সংক্ষিপ্ত সালাম পেশ করতেন। অতঃপর তিনি ইবনে উমার, ইবনে আব্বাস এবং আবু হুরায়রা (রাঃ) এর নাম উল্লেখ করেছেন।.. 
[1]. চার তাকবীরে জানাযার সলাত পড়ার পদ্ধতি হচ্ছেঃ প্রথম তাকবীরের পর সূরা ফাতিহা পড়ে কুরআন থেকে আরেকটি সূরা পাঠ করবে। অতঃপর দ্বিতীয় তাকবীর দিবে। দ্বিতীয় তাকবীরের পর নাবী সাঃ) এর উপর তাশাহুদের দুরূদের ন্যায় দুরূদ পাঠ করবে। এ ক্ষেত্রে দুরূদে ইবরাহীম পাঠ করাই সর্বোত্তম। দুরূদে ইবরাহীমের পূর্ণ বিবরণ এইঃ

্রاللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ ، اللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ ، وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ গ্ধ

হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ সাঃ) ও তাঁর পরিবারের উপর ঐ রূপ রহমত নাযিল কর যে রূপ নাযিল করেছিলে ইবরাহীম আঃ) ও তাঁর পরিবারের উপর নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানিত। হে আল্লাহ ! তুমি মুহাম্মদ সাঃ) ও তাঁর পরিবারের উপর বরকত নাজিল কর যেমনটি বরকত নাযিল করেছিলে ইবরাহীম ও তাঁর পরিবারের উপর নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানিত। (বুখারী ও মুসলিম) অতঃপর তৃতীয় তাকবীর দিয়ে এই দুআটি পাঠ করব্রে

اللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِحَيِّنَا وَمَيِّتِنَا وَصَغِيرِنَا وَكَبِيرِنَا وَذَكَرِنَا وَأُنْثَانَا وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا اللّٰهُمَّ مَنْ أَحْيَيْتَهُ مِنَّا فَأَحْيِهِ عَلَى الإِيمَانِ وَمَنْ تَوَفَّيْتَهُ مِنَّا فَتَوَفَّهُ عَلَى الإِسْلاَمِ اللّٰهُمَّ لاَ تَحْرِمْنَا أَجْرَهُ وَلاَ تُضِلَّنَا بَعْدَهُগ্ধ

‘‘হে আল্লাহ্! তুমি আমাদের জীবিত-মৃত, উপস্থিত অনুপস্থিত, ছোট ও বড় নর ও নারীদেরকে ক্ষমা কর। হে আল্লাহ্! তুমি আমাদের মাঝে যাদের তুমি জীবিত রেখেছো তাদেরকে ইসলামের উপরে জীবিত রাখ এবং যাদেরকে মৃত্যু দান করেছো তাদেরকে ঈমানের সাথে মৃত্যু দান কর। হে আল্লাহ্! আমাদেরকে তার সওয়াব হতে বঞ্চিত করোনা এবং তার মৃত্যুর পর আমাদেরকে পথ ভ্রষ্ট করোনা’’। (আবু দাউদ, আলএ. হা/৩২০১) অথবা নিম্নের দুআটি পাঠ করবে।

(اللّٰهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ، وَعاَفِهِ واَعْفُ عَنْهُ، وَأَكْرِمْ نُزُلَهُ، وَوَسِّعْ مُدْخَلَهُ، وَاغْسِلْهُ بِالْماَءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرْدِ، وَنَقِّهِ مِنْ الْخَطاَياَ كَمَا يُنَقَّىالثَّوْبُ الأبْيَضُ مِنْ الدَّنَسِ، وَأَبْدِلْهُ دَارًا خَيْرًا مِّنْ دَارِهِ، وَأَهْلاً خَيْراً مِّنْ أَهْلِهِ، وَزَوْجاً خَيْراً مِنْ زَوْجِهِ، وَأَدْخِلْهُ الْجَنَّةَ، وَأَعِذْهُ مِنْ عَذاَبِ الْقَبْرِ، وَعَذاَبِ النَّارِ

‘‘হে আল্লাহ্! তুমি তাকে ক্ষমা কর, তার প্রতি দয়া কর, তাকে পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তায় রাখ। তাকে মাফ করে দাও। তার আতিথেয়তা সম্মানজনক কর। তার বাসস্থানকে প্রশস্থ করে দাও। তুমি তাকে ধৌত কর পানি, বরফ ও শিশির দিয়ে। তাকে গুনাহ হতে এমন ভাবে পরিষ্কার কর যেমন করে সাদা কাপড়কে ময়লা হতে পরিষ্কার করা হয়। তাকে তার দুনিয়ার ঘরের পরিবর্তে উত্তম ঘর দান কর। তার দুনিয়ার পরিবার অপেক্ষা উত্তম পরিবার দান কর। আরো তাকে দান কর তার (দুনিয়ার) স্ত্রী অপেক্ষা উত্তম স্ত্রী। তাকে জান্নাত প্রবেশ করিয়ে দাও। আর তাকে কবরের আযাব ও জাহান্নামের আযাব হতে পরিত্রাণ দাও’’। (মুসলিম, হাএ. হা/২১২১, ২১২৪, ইফা. হা/ ২১০০, নাসায়ী, মাপ্র. হা/১৯৮৪, মিশকাত, হা/১৬৫৫) অতঃপর চতুর্থ তাকবীর দিয়ে সালাম ফেরাবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে উপরোক্ত দু’টি দুআ ব্যতীত অন্যসব দুআ নাবী সাঃ) পর্যস্ত বিশুদ্ধ সনদে প্রমাণিত নয়। তবে সাহাবীদের থেকে প্রমাণিত।

Post a Comment

0 Comments